রাশিদা য়ে আশরার,কবি ও সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক পদ্মা সংবাদ।
প্রতিকূল অবস্থাকে মেনে নিতে এখন ভয় হয়,
কঠিন বাস্তবতাকে এখন আমি ভীষণ ভয় পাই;
জগদ্দল পাথরের নিচে চাপা পড়া মহামারী রূপে
জেঁকে বসা অনিয়ম- দুর্নীতি,খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি জনজীবনে দুর্ভোগ!
অভাব দারিদ্রতা ক্ষুধার জ্বালা করুন আর্তনাদ;
মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত সম্প্রদায় কোন ঠাসা,
দুর্ভিক্ষ ওদের হৃদয়-মনে স্পষ্ট হতে স্পষ্টতর-
জীর্ণশীর্ণ দেহ, মলিন চোখে প্রতিবাদের ভাষা,
কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ,
নিরব অভিব্যক্তিতে পুড়ে মুখে ফুটে ওঠে বলিরেখা
পরিষ্কার!
আমি ও আমরা নিজের অবস্থা অবস্থান আগত
সময় কে ভয় পাই,
প্রতিদিন একটু একটু করে দিন চলে যাচ্ছে নিয়ত,
জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়-
প্রকৃতির নিয়মে জীবনের ইতি টেনে এঁকে দেয়
শেষ অংকের সমাধান;
ভয়াবহ অন্ধকার সেই নির্জন একাকিত্বের ঘরে-
কেমন হবে আত্মা যখন পরমাত্মায় পরিণত হবে!
আমি এখন নিজের ছায়াকে অপচ্ছায়া ভেবে
ভয় পাই,
আলো কে আলো ভাবতে হয় ভয়-
কোন মায়াকে মোহ মায়া ভেবে ভয় পাই;
প্রেমকে ছলনা ভেবে বিশ্বাস করতে ভয় পাই,
প্রতারণার কথা মনে উঠলেই
ভালোবাসার মহাকাব্য ধুলো মাখানো ধূসর;
কামনার আগুনে জ্বলে বিদগ্ধ মন প্রাণ অন্তর!
বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে আসলে বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার
পর,
একা হয়ে যাওয়ার ভয় পাই,
নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে বেছে নিতে পারেনি
কখনোই, কারণ ছেড়ে চলে যাবার ভয় পাই…
প্রতিকি এই আমি!
সময়ের হাওয়ায় তুলে পাল-
অবাধ অনাচার মানুষ ডুবে আছে সহসায়।
বদলে যাওয়া মানুষকে কারণে-অকারণে ভয় হয়,
মানুষের বহুরূপী রূপ রং চেনা বড় দায়,
দরিদ্র হয়ে বেঁচে থাকা যেন শুধুই উপহাস;
সংগত কারণেই মানুষকেই সবচেয়ে বেশী ভয়;
কীট পতঙ্গের চেয়েও অধিক- ভীষণ ভীষণভাবে
ভয় পাই;
সময়ের ঘূর্ণিতে তলিয়ে অস্তিত্ব পানে চেয়ে থাকি
আমি ও আমরা… প্রতীকী এই আমি!!
২০২৩
Leave a Reply